Posts

MY FIRST BLOG.

Image
27th July, 2023, Khardah. HALLO,  my name is DEEPTAMAN GHOSH. I am a young man of 19 years. The attached photo above is mine. this is my 1st blog.(I planned to blog on 27th, and sat down to write at 4:9 AM on the 28th). Currently I`m a twelve pass student, waiting for college admission. Before I start, I want to tell that, my mother tongue is Bengali. According to my plan, in future I`ll write the blog posts in both Bengali and English. I am typing on my new laptop right now. So, I couldn`t download Bengali keyboard because of new laptop. That`s why I`m forced to write my first blog in English.  so let`s begin our journey.😀 My purpose of blogging is not to make money. Now the question is why am I blogging? I can maintain my own timeline of my life through blogging, but I don`t have the trouble of being praised or criticized like Facebook.  Actually it is like writing a dairy. It But it`s a public dairy. I feel like Anne Frank😜. I`ll try to  capture all the importan...

বাংলাদেশের আগুনপাখি

Image
বাংলাদেশের আগুনপাখি --দীপ্তমান ঘোষ (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)-- আজ বাংলাদেশের আকাশে  হঠাৎ একটা জ্বলন্ত আগুনপাখি উড়ছে, বিদগ্ধ দুপুরে, হাজার বোমব্লাস্টের মধ্যে, পিচগলা রাস্তায় শক্ত পাথরের মত গড়িয়ে চলা..  আবু সাইদের মৃতদেহটাকে লক্ষ্য রেখে,  আগুনপাখিটা উড়ছে। আজ বাংলাদেশের আকাশে,  হঠাৎ... কিভাবে কিজানি.. কয়েক হাজার জ্বলন্ত আগুনপাখি, গনগনে লাল ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রমেশিনের জন্য একটা কবর খুঁড়ছে। পেট্রোল, বারুদ আর মবিলের একটা তীব্র গন্ধ পাচ্ছি... আগুনপাখিগুলো কিন্তু উড়ছে...। আজ বাংলাদেশের মাটিতে,  চট্টগ্রাম-খুলনা-রাজশাহীতে,  কয়েকটা সোনালী আগুনপাখি গোল হয়ে.. চৌবাচ্চার মধ্যে ৭২ খানা তেলাপিয়াকে,  উন্মাদের মতো ল্যাজ ঝাপটাতে দেখছে। আজ এই বাংলার মাটিতে,  জ্বলন্ত লাল আগুনপাখিগুলো, তীক্ষ্ণ চোখে পরিমাপ করে নিচ্ছে... পুলিশ আর ছাত্রলীগের হাতের রড-বন্দুক-চাপাতিগুলো, তীব্র দৃষ্টিতে মেপে নিচ্ছে.... ৫২তে আবু বরকতের রক্তের শুকনো দাগের উপর  আবু সাইদের তাজা টকটকে রক্ত-প্রলেপের ক্ষেত্রফল। আজ বাংলাদেশের দিগন্তে,  পাখি...

বিজন ভট্টাচার্যের জন্মদিনে

Image
বিজন ভট্টাচার্যের জন্মদিনে..... (কলমে -- দীপ্তমান ঘোষ) বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকের গোড়ায় বাংলার রাজনৈতিক আকাশে ঘনঘন পটপরিবর্তন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধবাজদের নোংরামি, মন্বন্তরের কঠোর অভিঘাতে একমুঠো খাবারের জন্য সর্বহারাদের লড়াই, বেকার সমস্যার ব্যাপক ব্যাপ্তি, পৃথিবীব্যাপী মৃত্যু-ক্ষুধার জর্জরতা.... , যখন সমগ্র বাঙালি সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে, সেই সময়ই বাংলার সংস্কৃতিমনস্ক নাট্যতোষামোদী একদল যুবক বাংলার রঙ্গমঞ্চে এক নতুন ভাবোন্মাদনার সতেজ সুবাস বহন করে আনে। সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সমসাময়িক প্রচলিত কিছু ন্যাকা,বোকা,গোদা, সারবত্তাহীন কিছু জঘন্য নাট্যভাবনাকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে সুনির্দিষ্ট সুসংবদ্ধ সামাজিক, রাজনৈতিক,ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক তানে পর্যালোচিত , সূক্ষতর চিন্তনের বুননে নির্মিত কিছু শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয় বাংলার নাট্যামোদী জনসাধারণের সামনে। চল্লিশের দশকের সাম্যবাদী চেতনার অন্তঃপ্রবাহে আন্দোলিত এবং উৎকৃষ্ট চিন্তাস্রোতে ধাবিত, নাট্য জগতে আমূল পরিবর্তন সৃষ্টিকারী এই ‘গণনাট্য আন্দোলনেরই’ ফসল ছিলেন বিজন ভট্টাচার্য।  তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থার গূঢ়তর পর্যালো...

গুয়ের্নিকা

Image
           গুয়ের্নিকা, পাবলো পিকাসো। যুদ্ধের বিরুদ্ধে শিল্প চিরকালই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাবলো পিকাসোর গুয়ের্নিকা ছবির দীর্ঘ ক্যানভাস যেন সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিমণ্ডল, শত নরনারী এবং শিশুর আর্তচিৎকার,  হাজার হাজার সর্বহারার দিকবিদিক ছুটোছুটি ও মৃত্যুর এক নিখুঁত খসড়া। ক্যানভাসের ছত্রে ছত্রে ফুটে ওঠে  স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় গুয়ের্নিকা শহরের উপর নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন নাৎসি বর্বরতার ভয়াবহতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পিকাসোর স্টুডিওতে এক নাৎসি অফিসার পিকাসোর  এই ছবিটি দেখে জিজ্ঞাসা করেন ‘এটা কি আপনার কাজ?’ উত্তরে পিকাসো বলেছিলেন ,‘না, এটা আপনাদের কাজ।’ কিন্তু এই ছবির মূল উপজীব্য কি?  যদি ছবিটা ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তবে দেখতে পাবেন, চওড়া  চোখওয়ালা এক অদ্ভুত ষাঁড় এর দিকে মুখ করে আর্তনাদ করছে এক মহিলা, যার জিভের বদলে তিনটে তীক্ষ্ণ ছোড়া বিদ্যমান, এবং যার কোলে একটি মৃত বাচ্চা। ফ্যাসিবাদী আক্রমণের প্রতিনিধিত্বকারী রূপকার্থে ব্যবহৃত ষাঁড় এর বিরুদ্ধে সাধারণ অসহায় মানুষের স্বরূপ ওই মহিলাটি যেন তীক্ষ্ণ আর্তনাদের ম...

নবারুনের জন্মদিন উপলক্ষে

Image
কে নবারুণ? কী নবারুণ? নবারুণ হলেন অপমানিত, অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিতদের আইকন.....; নিষ্ফলা, ধূসর ,কো ণঠাসা বেড়ালের মতো ফ্যাসফ্যাসে , নিঃস্ব ,রিক্ত, শূন্য, সর্বহারাদের আইকন.....; সর্বস্বান্ত, ভিখারি, বেকার,দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষদের আইকন।  ‘নবারুণ কবির চেয়েও বেশি আইকন, একজন গড়পড়তা গদ্যলেখকের চেয়ে অনেকগুণ বেশি বৈপ্লবিক ভূমিকা তাঁর... এবং সাহিত্যিকের চেয়েও বেশি বড় সংগঠক। ভাষাবন্ধন একটা আন্দোলন নিশ্চয়তই।’ নবারুণের উপন্যাস একটা আগুনের স্রোত, যা একজন ছাত্রের রাজনৈতিক বোধকে তীব্রভাবে উসকে দেয়, একজন যুবকের রাজনৈতিক-সামাজিক- দার্শনিক সত্তাকে, তার চিন্তন-মননের উৎকর্ষকে, তার মস্তিষ্কের বৌদ্ধিক কর্ষণকে লেলিহান শিখার মত টানটান এবং ধকধকে উত্তেজী করে রাখে.....এবং প্রতিবাদী সত্তাকে তার শিরদাঁড়ায় প্রোথিত করে। কাদের কথা বলে নবারুণ? যাদের কথা কেউ বলে না, সভ্যতা যাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, ব্রিজের নিচে বাঁশের খুটির তরজার বেড়ার কালো-পলিথিনের ছাদওয়ালা ঝুপড়িতে যারা দিনযাপন করে...;মশা মাছি, কীটপতঙ্গ এবং মলমূত্র মাখা আস্তাকুড়ের জঞ্জালের ওপর দশ বাই বারো ফুটের নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে খুপড়িত...

শীত

Image
   শীত ( দীপ্তমান ঘোষ,  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)  শীত আসে..... গাছতলায় মাতৃহারা পত্রকের আর্তনাদ, সর্বহারার হাহাকার, নিভে যাওয়া ল্যাম্পের মূর্ছনা, শিশিরে ভেজা কম্বল আর শতজীর্ণ শালের মধ্যে দিয়ে একগাল কাঁচাপাকা দাড়ি নিয়ে এক অর্ধপ্রাণ জানোয়ার; একটু খাবার আর একটু মনুষ্যত্বের আশায়... প্রহর গোনে। টোল খাওয়া বাঁকা থালায় দু-চার কয়েনের ঝনঝনানি.... সগৌরবে ঘোষণা করে বিবেকের মৃত্যুধ্বনি।। শীত আসে...... ডিসেম্বরের আলোয়  পৃথিবী আজ রক্তিমাভায় সাজে... মা হারা প্যালেস্তিনি ছানা, চোখ বোজে, ধ্বংসস্তুপের মাঝে...।। শীত আসে..... গভীর রাতে একাকিত্বের আত্মময় রাজ্যে.... দমকা হাওয়ায় উড়ে আসে সিগারেটের ছাই, দুটো লাইন বয়ে আনে একরাশ না বলতে পারা আকাঙ্ক্ষা.... হিজিবিজি কাটা ছেঁড়া পাতায় থিতিয়ে পড়ে জীবনসংগ্রামের প্যারাডক্স।। শীত আসে... বুকে পুরনো স্মৃতির হাহাকার, হটাৎ স্বপ্নে... সারা শরীর জুড়ে থরথর শিরশির.... আমার কলজেময় রক্ত, লাঞ্ছনার দোতনায়.. চুঁইয়ে পড়ে একাকার...।। তারপর আসে ভয়.... বিচ্ছেদের আগে শেষ চুম্বনের আর্তনাদ.... আকাশভর্তি আলো, যৌনতার ঢেউ, ...

About me.

Image
Who am I? I`m Deeptaman Ghosh. I am a Bengali youth. I`m starting my blogging journey at(2023) the age of 19. I have completed my secondary and higher secondary education from Ramakrishna Mission Boys` Home High School, Rahara. I am interested in art, literature, politics, science, philosophy etc. I am trying to document my life through blogging. I want to store my thoughts and opinions about different things through blogging. Me, at my Naihati house. July 2023. My purpose of blogging is to maintain my own timeline of my life through writing. Actually it is like writing a dairy. Here I`ll share important moments of my life. I`ll write about my hobbies, favourite personalities, book analysis, my thought process, articles etc. I`ll try to open all the windows of my mind through these writings. Let this space become a free space of open-thinking. thanks for reading this nonsense.   THANK YOU SO MUCH FOR VISITING MY WEBSITE.

একেই বলে শুটিং (সত্যজিৎ রায়)

Image
 “একেই বলে শুটিং”। বইটা সত্যজিৎ রায়ের লেখা।এইমাত্র এটাকে পড়া শেষ করে ,ওখান থেকে তথ্য জোগাড় করে, খানিকটা ‘এখনত্ব’ আরোপ করে, স্বকীয় ভঙ্গিতে জ্ঞান দিতে আরম্ভ করছি।  পথের পাঁচালী: সত্যজিৎ তখন বিজ্ঞাপনের অফিসে কাজ করেন। সাথে সাথে হলিউডের সিনেমাগুলোও ভালভাবে আত্মস্থ করছেন।সিনেমা দেখতে তার খুব ভাল্লাগে। হটাৎ সিনেমা বানানোর ভূত মাথায় উপবিষ্ট হতেই শুরু হল পথের পাঁচালীর শুটিং। চাকরির ফাঁকে ফাঁকেই শুরু হল শুটিংয়ের কাজ। উনিশ শতকের মধ্যিখানে ভারতের মত একটা সামাজিক শুচিবায়ুগ্রস্থ পোড়া দেশে ক্লাসিক সিনেমা বানানো যে কতটা কঠিন, তা বোঝা শক্ত নয়। ছবি তৈরির সময় একগাদা ঝামেলা সামনে এসে ভৈরবনৃত্য শুরু করল। স্বাভাবিকভাবেই ছবির কাজ চলে বহুদিন ধরে। সমস্যা গুলো একে একে বলি। প্রথমেই এল টাকার সমস্যা। এদেশে বটতলায় লম্বা জটা দুলিয়ে , কতক ঠাকুরের ছবি দেওয়ালে সেঁটে দিয়ে মুশকিল আসানের গ্যারেন্টি দিলেই লক্ষ্মীলাভ আটকায় কার সাধ্য? কিন্তু ভাল শিল্পের জন্য টাকা আদায় করতে গেলেই ‘শিল্পপ্রেমী বাঙালি’ কিছু ফ্রি অ্যাডভাইস দিয়ে সরে যাবে। সত্যজিতের ক্ষেত্রেও তাই হল। ওঁর পকেট এমনিতেই গড়ের মাঠ, তার মধ্যে...